25 April, 2020

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মর্তুজা হানিফ সাহেবের নিজস্ব উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ  উপজেলায় ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনাব রবিউল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট মহোদয় এর উপস্থিতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মর্তুজা হানিফ সাহেবের সৌজন্যে ভোটমারী ইউনিয়নের ১০০০ জন অসহায় মানুষের মধ্যে উপহার সামগ্রী (খাদ্যদ্রব্য) বিতরণ করা হয়। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকবৃন্দ।

ত্রান বিতরণকালে জনাব রবিউল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট মহোদয় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুযায়ী আপনারা অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব মেনে চলবেন এবং আপনাদের যার যেটুকু সামর্থ্য আছে সেভাবেই আপনাদের বাড়ির পাশে বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কিছুটা হলেও আপনাদের আর্থিক সহায়তা হবে।  সরকারের নির্দেশা মেনে হতদরিদ্র ও অস্বচ্ছলদের পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

18 April, 2020

কালীগঞ্জে ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়

কালীগঞ্জে ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর (শনিবার), উপজেলার ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজরানীয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং আফজাল উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে "সামাজিক সমস্যা ও প্রতিকার বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মর্তুজা হানিফ, সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা, ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, জনাব ওয়ালীয়ার রহমান, প্রধান শিক্ষক, ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, জনাব লিপিকা চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক, আফজাল উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেরোবি শিক্ষার্থী গোলাম মাহমুদ, কুবি শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান, হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী জুবায়ের কায়েস এবং অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন জনাব আদুল বাছেদ পাটোয়ারী, সহকারী শিক্ষক, হাজরাণীয়া উচ্চ বিদ্যালয়।

11 April, 2020

নতুন পদ সৃষ্টি ও শিক্ষকদের বদলির সুযোগ থাকছে

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা ২০১৮ জারি করেছে সরকার। এতে বেসরকারি স্কুল পর্যায়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ে এবং কলেজ পর্যায়ে আইসিটি ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষকের নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে এসব বিষয়ের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে না থাকার কারণে তারা বর্তমানে এমপিওভুক্ত হতে পারেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। `বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮` শীর্ষক এ নীতিমালা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুমোদন করার পর প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
নতুন নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজন মনে করলে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি করতে পারবে। বর্তমানে তাদের বদলির কোনো বিধান নেই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর। এতদিন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পর্যায়ে কোনো বয়স নির্ধারণ করা ছিল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান বলেন, নতুন এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। এর পর কাউকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সহকারী প্রধান বা সাধারণ শিক্ষক পদে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেওয়া যাবে না।
নীতিমালায় শিক্ষকের এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিয়োগের প্রাথমিক বয়স, অবসরের বয়সসীমাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ারও শর্ত রয়েছে এতে। বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে শিক্ষকও এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন না।
নীতিমালায় বলা হয়, এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানে সমান বা উচ্চতর পদে আবেদন করতে পারবেন। কর্মরত প্রতিষ্ঠানপ্রধানের অনুমতি নিলে তিনি বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ চাকরি ছাড়েন, তা হলে সর্বোচ্চ দুই বছর তার ইনডেক্স (বেতন পাওয়ার কোড) নম্বর বহাল থাকবে। এর বেশি হলে তা চাকরিতে বিরতি হিসেবে গণ্য হবে। ইনডেক্স নম্বর বা নিবন্ধন সনদ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী, নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মেধাক্রম/মনোনয়ন/ নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু একটি মাত্র তৃতীয় বিভাগ বা সমমান গ্রহণযোগ্য হবে।
বেতন-ভাতা ও অভিজ্ঞতা :বেসরকারি শিক্ষকরা সারাজীবনের জন্য জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে আটকে গিয়েছিলেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলে বেতন স্কেলের অষ্টম গ্রেডে যেতে পারবেন। চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে তারা সপ্তম গ্রেড পাবেন। নীতিমালা অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে হলে প্রভাষক পদে নয় বছর আর সহকারী অধ্যাপক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে শুধু মোট ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই চলত। ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই চলত। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য প্রভাষক পদে ১২ বছরের ও তিন বছর সহকারী অধ্যাপক পদের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নতুন নীতিমালায় স্কুল ও কলেজ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন করে একটি `অফিস সহকারী`র পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ নীতিমালায় পদ সমন্বয়ের সুযোগও রাখা হয়েছে। এর ফলে কোনো শিক্ষক ডিগ্রি পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত পদ শূন্য হলে তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। এ ছাড়া আগে চতুর্থ শ্রেণির পদে চারজন এমপিওভুক্ত হতেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে একজন অফিস সহায়ক, একজন প্রহরী, একজন নৈশপ্রহরী ও একজন ঝাড়ূদার এমপিওভুক্ত হবেন।
Collected: 

07 April, 2020

ঈদের ছুটি পর্যন্ত বন্ধ হতে পারে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে। রমজান মাস শুরুর আগের দিন পর্যন্ত (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান শুরু ২৫ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হবে। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে পবিত্র রমজান মাসের ছুটি। সব মিলিয়ে ঈদের ছুটি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একই সিদ্ধান্ত নেবে। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রমজানের ছুটির আগের দিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। তারপর রমজানের ছুটি শুরু হবে। সেই হিসেবে ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছুটি বাড়িয়ে ঈদের ছুটি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হতে পারে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ এপ্রিল (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র রমজান শুরু হবে।  সেই হিসেবে রমজান শুরুর দিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে। তারপর শুরু হবে রমজানের ছুটি।  ফলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ঈদের ছুটির পর।

তবে দীর্ঘ ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস অব্যাহত থাকবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ভিডিও ক্লাস কিশোর বাতায়নে এবং ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণি কার্যক্রম আয়ত্ত করবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টিভিতে ভিডিও শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার করা হবে। 
এডুকেশন বাংলা

01 April, 2020

আজ ১লা এপ্রিল। এপ্রিল ফুল দিবস, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিন পালিত হওয়া একটি দিবস।

মোঃ আব্দুল মজিদ
আজ ১লা এপ্রিল। এপ্রিল ফুল দিবস প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম দিন পালিত হওয়া একটি দিবস। এপ্রিল ফুল মানে কি? এপ্রিল হল ইংরেজি সনের ৪র্থ মাস আর ফুল মানে বোকা। সুতরাং এর অর্থ দাড়ায় এপ্রিলের বোকা। মাঝে মাঝে একে সকলকে বোকা বানানোর দিন বলে উদযাপন করা হয়। এই দিন প্রতিবেশীদের উপর কৌতুক করার জন্য একটি দিন হিসাবে সর্বত্র স্বীকৃত। এপ্রিল ফুলস ডে এর কিছু প্রিকার্সর হলো, এটি রোমান হিলারিয়া উৎসব, ভারতের হোলি উৎসব, এবং এর মধ্যযুগীয় ফুল ফিস্ট জড়িত। যুক্তরাজ্যে এপ্রিল ফুলের দিন প্রাপককে অর্থাৎ যিনি এপ্রিলের বোকা হন তাকে "এপ্রিল ফুল!" বলে হাসি তামাশা ও চিৎকার করে প্রকাশ করা হয়।
ইরানে পার্সি ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষের ১৩তম দিনে আনন্দ মজা করা হয়। এই দিন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিল ও ২রা এপ্রিল সদৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৫৬৪ সালে ফ্রান্সে নতুন ক্যালেন্ডার চালু করাকে কেন্দ্র করে এপ্রিল ফুল ডে'র সুচনা হয়। ঐ ক্যালেন্ডারে ১লা এপ্রিলের পরিবর্তে ১লা জানুয়ারীকে নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কিছু লোক তার বিরোধিতা করে। যারা পুরনো ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী ১লা এপ্রিলকেই নববর্ষের ১ম দিন ধরে দিন গণনা করে আসছিল, তাদেরকে প্রতি বছর ১লা এপ্রিলে বোকা উপাধি দেয়া হতো।
#এপ্রিল ফুলের করুণ ইতিহাস:-
১৪৯২ খৃষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল। স্পেনের রাজধানী গ্রানাডার খৃষ্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড ও পর্তুগীজ রানী ইসাবেলার বাহিনী আক্রমন করলে, মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাধে তেমন সুবিধা করতে পারে না। তখন তারা মুসলমানদের অবরোধ করে রাখে। পরিশেষে সমঝোতা হিসেবে মুসলমানদেরকে আত্বরক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলে তারা ঘোষণা করে মুসলমানদের যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদে আশ্রয় নিবে, তাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে এবং যারা নৌ জাহাজে আশ্রয় নিবে তাদের অন্য মুসলিম দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সরলপ্রাণ মুসলমানরা ধ্রুর্ত ফার্ডিন্যান্ড ও ইসাবেলার কুটচাল বুঝতে না পেরে অস্ত্র পরিত্যাগ করে মসজিদে ও জাহাজে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তখন ফার্ডিন্যান্ডের নির্দেশে তার বাহিনী সমস্ত মসজিদ তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জাহাজগুলোকে সমুদ্রের মাঝখানে নিয়ে কোনোটাতে আগুন আর কোনোটা ডুবিয়ে দেয়। ফলে সেদিন আগুনে পুড়ে ও সাগরে ডুবে সাত লক্ষ স্পেনিস মুসলমান এক সাথে নির্মমভাবে মৃত্যুবরন করেন।   
ঈমানদীপ্ত প্রাণগুলো ছটফট করছিলো এবং গ্রানাডার আকাশ বাতাস তাদের আর্ত চিৎকারে ভারি ও প্রকম্পিত হচ্ছিলো। তখন আনন্দের অতিশয্যে পাষন্ড ফার্নিন্যান্ড ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বললো-''Oh, muslim's how fool you are! '' ''ওহে মুসলিম তোরা এতো বোকা! ''
বিখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নাড’শ বলেছিলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা গ্রহন করে না’ । আমরা কি দার্শনিক বার্নাড’শ এর মতের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সামনে এগুচ্ছি ? যে মুসলমানদের হত্যা করে খ্রিষ্টানরা এপ্রিল ফুলের জন্ম দিল, জীবন উৎসর্গকারী সেই মুসলমানদের উত্তরসূরী হয়ে আমরা এপ্রিল ফুল অনুষ্ঠান পালন করছি, একজন আরেকজনকে বোঁকা বানাচ্ছি, শুভেচ্ছা বিনিময় করছি । ধিক্কার আমাদের এমন কর্মকান্ডের ওপর ! ধিক্কার আমাদের এমন হীন চিন্তা-চেতনার উপর !! যে দিনটিকে গভীর ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৪৯৩ সালের গ্রানাডা ট্রাজেডীসহ গোটা বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলমানদের কল্যান কামনা করে উদযাপন করা উচিত সেই দিনটিকে আমরা হাসি ঠাট্টার মধ্যে কাটাই । সেদিনের স্পেনের মুসলমানদের করুন আর্তনাদ কি আমাদের কানে ঝংকারিত হয় না ? আমাদের বোধশক্তি কি চিরতরের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে ? আমাদের আবেগ, অনুভূতি কি ভোঁতা হয়ে পড়েছে ? আসুন, পহেলা এপ্রিলসহ অন্যান্য বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ত্যাগ করে ইসলামের সংস্কৃতি এবং দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা করি । আর এ পরিচয় সর্ব যুগেই সম্মানের হবে । আজ থেকে যেন আমাদের বৌদ্ধিক চেতনা জাগ্রত হয় ।
#সংগৃহীত
মোঃ আব্দুল মজিদ
 সহঃ শিক্ষক (গণিত)
ডাঃ চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়
কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট।