দৈনিক প্রত্যাহিক সমাবেশের নিয়মাবলী
১। বিদ্যালয়ের দৈনিক প্রত্যাহিক সমাবেশে প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকর্মীবৃন্দ এবং সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
২। সাধারনতঃ সুস্ক মৌসুমে বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে এবং বর্ষা মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে, বারান্দায়, কিংবা শ্রেনী কক্ষে দৈনিক প্রত্যাহিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
৩। জাতীয় পতাকা সামনে রেখে শিক্ষার্থী লাইন ও ফাইলে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়াবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক বৃন্দ পতাকা ও শিক্ষার্থীদের সম্মুখে রেখে দৈনিক প্রত্যাহিক সমাবেশে দাড়াবেন।
৪। পতাকার বাম পাশে প্রধান শিক্ষক,ডান পাশে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ,তার ডান পাশে বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টেন শ্রেণির দিকে মুখ করে দাঁড়াবে।
৫। দৈনিক সমাবেশের লাইন ও ফাইল শ্রেনী ভিত্তিক হতে হবে।
৬। প্রতিষ্ঠানের কাব শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক কতৃর্ক মনোনীত বা নিযুক্ত কোন শিক্ষক দৈনিক প্রত্যাহিক সমাবেশ পরিচালনা করবেন।
৭। দৈনিক সমাবেশের লাইন ও ফাইল ঊচ্চতা অনুযায়ী সামনে ছোট থেকে পেছনে বড় সাজিয়ে দাড়াতে হবে।
৮। প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যাক্তি / শিক্ষার্থী সমাবেশ ক্লাসের জাতিয় সঙ্গিত শুরু হওয়ার পর পরই যদি ক্যাম্পাসে আসতে বা যেতে থাকে এমন অবস্থায় তার কানে জাতীয় সংগিতের সুর প্রবেশ করা মাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে যাবে এবং জাতীয় সংগিত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দন্ডায়মান থাকবে। জাতীয় সংগিত সবাই এক সংগে গাইবে।
৯। কোরআন তেলোয়াত বা পবিত্র গ্রন্থ থেকে পাঠ এক জন করবে, তার সঙ্গে শুনে শুনে সবাই নিজ ধর্ম অনুযায়ী নীরবে তেলোয়াত বা পাঠ করবে ।
১০। ৫
মিনিটের জন্য শরীর চর্চা অনুশীলন (পি,টি )। এমন কোন শরীর চর্চা করানো যাবে
না যাতে জামা কাপড়ে মাটি লাগার সম্ভাবনা
থাকে।
১১। তারপর শারীরিক শিক্ষকের নির্দেশে শ্রেণি ক্যাপ্টেনের তত্ত্বাবধানে
সারিবদ্ধভাবে ক্লাশে
যাবে।
১২। শারীরিক শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টিন সমাবেশ পরিচলনা করবে।
১৩। প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভাষণ (প্রয়োজন বোধে) ।
সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা :
১। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোভাব ও সমঝোতা বৃদ্ধি
করে।
২। জাতীয় চেতনা ,জাতীয়তা বোধ এবং
দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।
৩। সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ
ঘটায়।
৪। সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি
পায়।
৫। দেহ ও মনে সুস্থ জীবন - যাপন করতে পারে।